আইয়ামে বীজের রোজা জুলাই ২০২৪
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আইয়ামে বীজের রোজা জুলাই ২০২৪ ।আইয়ামে বীজেরআইয়ামে বীজের রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি । প্রত্যেক মাসে আইয়ামে বীজের রোজা তিনটি করে রাখলে সারা মাসের রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। আইয়ামে বীজের রোজা আমাদের উপর ফরজ কিন্তু নএটি একটি নফল রোজা আপনি আইয়ামে বীজের রোজা রাখলে সওয়াব পাওয়া যাবে।
আরবি ইয়াওম শব্দের বহুবচন আইয়াম । যার অর্থ দিনগুলো এবং বীজ শব্দের অর্থ সাদা, শুভ্র। আইয়ামে বীজ দ্বারা বুজানো হয় চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ বোঝানো হয়। এই তারিখগুলোতে জ্যোৎস্নায় রাতগুলো শুভ্র ও আলোকিত হয়। এ কারণে তারিখগুলোকে একসঙ্গে বোঝাতে ‘আইয়ামে বীজ’ নামকরণ করা হয়েছে।
আইয়ামে বীজের রোজা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যভাগে ৩ দিন রোজা রাখতেন। উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য এ তিনদিন রোজা রাখা সুন্নাত। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে এ তিনদিন রোজা রাখতে বলেছেন। ১৪৪৩ হিজরির শেষ মাস জিলহজ। জিলহজের ১৩ তারিখ রোজা রাখা হারাম। তাই পরবর্তী ৩ দিন আইয়ামে বিজের রোজা রাখার যায়। সে হিসেবে চলতি জিলহজ মাসের ১৪-১৬ তারিখ হলো- ১৪, ১৫ ও ১৬ জুলাই মোতাবেক বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার। যারা আইয়ামে বিজের তিনদিন রোজা রাখবেন; তাদের জন্য ১৩ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতেই সেহরি খেতে হবে।
আইয়ামে বীজের রোজা রাখার গুরুত্ব
আইয়ামে বীজ বলা হয়ে থাকে আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ কে । প্রতি মাসে ১৩, ১৪ ও ১৫ এই তিন দিন রোজা রাখলে সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যায়। তবে জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ আইয়ামে তাশরিকের অন্তর্ভুক্ত তাই ওই দিন রোজা রাখা হারাম। এজন্য জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ বা অন্য যেকোনো দিন রোজা রাখা যাবে।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন : ‘সকল দিনের মধ্যে কোন দিনও বান্দার ইবাদত করা আল্লাহ তায়ালার কাছে ততটুকু প্রিয় নয়, যতটুকু জিলহজ্জের ১ম ১০ দিন ইবাদত করা প্রিয়।’ হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তায়ালার কাছে খুবই পছন্দনীয় এই ১০ দিনের আমলগুলো। এমনকি জিহাদের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাফসাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, চারটি জিনিস রাসূল (সা.) কখনও ছাড়তেন না। ১) আশুরার দিনে রোজা রাখা (মুহাররমের ১০ম দিন)। ২) জিলহজ্জের ১ম দশ দিনের রোজা। ৩) আইয়ামে বীজের রোজা (প্রত্যেক চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ)। ৪) ফজরের ফরয নামাজের আগে দু রাকাআত সুন্নাত নামাজ।
ইসলামের মৌলিক ইবাদত হচ্ছে পাঁচটি। যথা- ঈমান, নামাজ, যাকাত, রোজা ও হজ্জ ইত্যাদি। এই সবগুলোর সাথে কুরবানী, দান-সদাকা ও আরাফার দিনের ফজিলতপূর্ণ আমলের একটা পরিপূর্ণ সমন্বয় ঘটে থাকে জিলহজ্জ মাসের ১ম দশ দিনে। যা সারা বছরের অন্য কোনো সময় পাওয়া যায় না। তাই এই ১০ দিন আল্লাহর নিকট অতি পছন্দনীয় এবং মু’মিনদের জন্য আমল করার একটি বিশেষ সময়।
আইয়ামে বীজের রোজা রাখার হাদিস
- ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন , ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) সফর ও মুকিম অবস্থায় কখনো আইয়ামে বিজের রোজা ভঙ্গ করতেন না’ (নাসায়ী)।
- রাসূল (সা.) বলেছিলেন, কোনো মাসের ৩টি রোজা রাখলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রাখবে (আহমদ)।