ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

আসসালামু আলাইকুম আমরা আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ নিয়ে, আমরা যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর মধ্যে ফজরের নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আর অনেক সময় দেখা যায় যে ঘুমের কারণে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু হয়েছে আর কখন শেষ হয়ে গেছে তা আমরা অনেক সময় টের পাই না। আবার ওয়াক্ত কখন শুরু হয় ও শেষ হয় তা অনেকেই জানে না তবে জেনে রাখতে হবে, আগে থেকেই কারণ আপনি যদি ফজরের আজান শুনতে না পান তাহলে আপনি মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখতে পারেন, যে ফজরের ওয়াক্ত কখন শুরু এবং কখন শেষ।

আমাদের প্রতিটি মুসলিমের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর ওয়াক্ত কখন শুরু হয় ও শেষ হয় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানলেও অনেকেই এখনও পর্যন্ত জানি না তবে আমাদের মুসলিমদের সকলের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ওয়াক্ত জানা দরকার।

ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু

ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয় মূলত সুবহে সাদিক হওয়ার সাথে সাথে এখন আপনি যদি ঘুমের ঘোরে থাকেন, তাহলে কখন যে সুবহে সাদিক হয়ে যাবে টের পাবেন না, সেজন্য মোবাইল এ এলারাম দিয়ে রাখতে পারেন।

ফজরের নামাজের শেষ ওয়াক্ত

ফজরের নামাজের শেষ ওয়াক্ত সূর্যোদয়ের ঠিক আগ পর্যন্ত থাকে, তবে অনেক ইমাম ও ইসলামীক পন্ডিত ব্যক্তিত্বদের মতে আপনি যদি কোন কারনে ঘুমের জন্য টের না পান তাহলে আপনি টের পাওয়ার সাথে সাথে কারো সাথে কথা না বলে ওযু করে নামাজ আদায় করে নিবেন। তবে ইচ্ছা করে এরকম করলে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত হবে না আদায়।

নামায নিয়ে হাদীস

নিচে দেওয়া হলো —

সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত কায়েম করো এবং কায়েম কর ফরজের কোরআন পাঠও (অর্থাৎ সালাতুল ফরজ)। নিশ্চয় ফজরের পাঠ ( সালাতুল ফরজ) প্রত্যক্ষ করা হয়। (সূরা: বানী ইসরাইল, আয়াত: ৭৮)

ওহে যারা ঈমান এনেছ! জুমার দিনে যখন তোমাদেরকে সালাতের জন্যে ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর। এটি তোমাদের জন্যে উত্তম –যদি তোমরা জানতে। (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯)

সুতরাং ওই সব নামাজির জন্য দুঃখ, যারা নিজেদের নামাজসমূহে অলসতা করে। যারা লোককে দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে। (সূরা: মাউন, আয়াত: ৪-৫-৬)

আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করি (ক্ষমতা ও সম্পদ দ্বারা) তাহলে তারা সালাত কায়েম করবে, সৎ কাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে, আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহর (নিকট) (সূরা: হাজ, আয়াত: ৪১)

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা: আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)

এবং তুমি সালাত কায়েম কর দিনের দুই দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে এটি এক উপদেশ। (সূরা: হুদ, আয়াত: ১১৪)

অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সূরা: নিসা, আয়াত: ১০৩)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *