আইয়ামে বীজের রোজা সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

আসসালামু আলাইকুম পরম করুনাময় আল্লাহর রহমতে আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব আইয়ামে বীজের রোজা সেপ্টেম্বর ২০২৪ প্রত্যেক মাসে আইয়ামে বীজের রোজা তিনটি করে রাখলে সারা মাসের রোজার সওয়াব পাওয়া যায়, আই এম এ বীজের রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি আইয়ামে বীজের রোজা আমাদের উপর ফরজ কিন্তু নএটি একটি নফল রোজা আপনি আইয়ামে বীজের রোজা রাখলে সওয়াব পাওয়া যাবে,  আবার যদি না রাখেন তবুও কোন সমস্যা বা গুনাহ নাই তবে রাখলে প্রচুর পরিমাণে সাওয়াব রয়েছে।

বিশিষ্ট ইসলামিক পন্ডিত ব্যক্তিত্বরা ও বিভিন্ন আলেম গণ মতবাদ দিয়েছেন যে প্রত্যেকটি আমল ধারাবাহিকতার সাথে পালন করলে সওয়াব অনেক পাওয়া যায় যেমন আপনি যদি রমজান মাস রোজা পালন করার পর প্রত্যেক মাস আইয়ামে বীজের রোজা পালন করে থাকেন, তাহলে আপনার সারা বছর রোজা রাখার যে সওয়াব তা পুরো বছর পাবেন।

আইয়ামে বীজের রোজা রাখার গুরুত্ব ও ফজিলত

আইয়ামে বীজের রোজা রাখার গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত আইয়ামে বীজের রোজা মূলত আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আঃ এর থেকে শুরু হয়েছে হযরত আদম আলাইহিস সালাতু সালাম ও মা হওয়া আলাইহিস সালাতুস সালাম জান্নাতে বসবাস করেছিল, কিন্তু মিস্টার ইবলিশ এর প্রতারণায় পড়ে গন্ধম ফল খাওয়ার কারণে তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। এবং তাদের চেহারা কুৎসিত হয়ে যায় অতঃপর হযরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের ১৩ ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের উজ্জ্বল হয়ে যায় তাই এই তিন দিন কে আইয়ামে বীজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়। মূলত আই এম এ বীজের রোজা আমাদের আদি পিতা থেকে শুরু আর আইয়ামে বীজের রোজা রাখলে প্রচুর পরিমাণে সওয়াব পাওয়া যায়। আগামী বীজের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি কারণ  আইয়ামে বীজের তিনটি রোজা রাখলে সারা মাসের সওয়াব পাওয়া যায়, সেজন্য আমাদের মুসলিমদের সকলের উচিত প্রতিমাসের আইয়ামে বীজের রোজা পালন করা।

আইয়ামে বীজ এর রোজা কেন পালন করবেন?

আমাদের মুসলমানদের উপর রোজা ফরজ আমরা পবিত্র রমজান মাসে এক মাস সিয়াম সাধনা পালন করে থাকি। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার লক্ষ্যে ঠিক তেমনি ভাবেই আমরা যদি আইয়ামে বীজের রোজা প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট দিনে তিনদিন রোজা পালন করলে, আমাদের পুরা মাসে রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। এভাবে রোজা রাখলে সারা বছর রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে ঠিক পরের বছর যখন আমাদের উপর একটি মাস রোজা ফরজ করা হয়েছে সেই মাস আবার আসলে আমাদের জন্য রোজা রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়, কারণ হুট করে আপনি যদি রোজা শুরু করেন যদিও কোন সমস্যা হয় না। তবে অনেকেই রোজা রাখতে ভয় পায় আর আইয়ামে বীজের রোজা যদি প্রতিমাসে তিনটি করে পালন করে তাহলে দেখবেন রোজা রাখা কোন সমস্যা হবে না। সেজন্য আইয়ামে বীজের রোজা আমাদের পালন করা বা রাখা উচিত তাতে করে আমরা পুরো বছরের সওয়াব পেয়ে থাকি ।

আইয়ামে বীজের রোজা রাখার হাদিস

আই এম বিজি এর রোজা রাখার হাদিস আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন নিচে কয়েকটি আইয়ামে বীজের রোজা রাখার হাদিস তুলে ধরা হলো —

আইয়ামে বীজের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে হাদীস

হাদীস নং ১

ইবনু মিলহান আল-ক্বায়সী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আইয়ামে বীয অর্থৎ চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সওম পালনে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এগুলো সারা বছর সওম রাখার সমতুল্য।
– আবু দাউদ ২৪৪৯,সহীহ

হাদীস নং ২

জারীর ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন:
প্রত্যেক মাসের তিন দিন সাওম (রোযা) পালন করা সারা জীবন সাওম (রোযা) পালন করার সমতুল্য। আর আইয়ামে বীয -তের তারিখের সকাল থেকে চোদ্দ এবং পনের তারিখ পর্যন্ত।
নাসায়ী ২৪২০,হাসান

হাদীস নং ৩
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমার বন্ধু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিনটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা এবং দুই রাকাত সালাতুদ দুহা এবং ঘুমানোর পূর্বে বিতর সালাত আদায় করা।
– বুখারী ১৯৮১, সহীহ

আইয়ামে বীজের রোজা সেপ্টেম্বর ২০২৪

সেপ্টেম্বর মাস মূলত হচ্ছে সফরের মাস আর এই সফরের মাসে আই এম বিজি রোজা যে তিন দিন ২১, ২২,২৩ তারিখে আইয়ামে বীজের এর রোজা রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *