জিলহজ্জ মাসের রোজা ২০২৫
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুসলিমগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আল্লাহর রহমতে অনেক বেশি ভালো আছেন। প্রিয় মুসলিমগণ আপনারা কি জিলহজ মাসের রোজা নিয়ে চিন্তিত। কবে শুরু হবে তা জানতে পারছেন না। চিন্তা করার কোন কারণ নেই, কারণ আমরা আজকে সবকিছু বিস্তারিত আপনাদের জানাবো। আপনারা কি জিলহজ মাসের রোজা 2025 নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এই আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন। তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন। কারণ আমরা আজকে আপনাদের সকল বিস্তারিত জানাবো মাসে রোজা নিয়ে। আপনারা হয়তো অনেক আর্টিকেল ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও জিলহজ্ব মাসের রোজা নিয়ে বিস্তারিত সঠিকভাবে জানতে পারেননি। আমরা আজকে সকল বিস্তারিত জানাবো জিলহজ মাসের রোজা ২০২৫ সম্পর্কে। আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি পুরোটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। পুরোটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি জিলহজ মাসের রোজা নিয়ে খুব ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
জিলহজ্জ মাসের রোজা ২০২৫
একজন যুবকের অভ্যাস ছিল সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখলে রোজা রাখত। এক সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সেটা জানতে পারেন। এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে যুবক, তুমি কেন এই দিনগুলোতে রোজা রাখো?’ জবাবে যুবক বলে, ‘হে রাসুল, আমার মা-বাবা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। দিনগুলি পবিত্র হজ্জ এর প্রতীক এবং হজ আদায়ের উত্তম সময়। হজ আদায়কারীদের সমপরিমাণ নেকি লাভ করি। তার সাথে আল্লাহ তা’আলা আমার দোয়া কবুল করেন।’
অতঃপর রসূল সাঃ বলেন, প্রতিটি রোজার বিনিময়ে ১০০ টি দাস মুক্ত করার, ১০০টি উট দান করার এবং জিহাদের জন্য প্রস্তুত ঘোড়া দান করার সওয়াব পাবে।(মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি)
আর ৯ ই জিলহজ(আরাফার দিন) রোজা রাখার ফলে জীবনের আগে এবং পরের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন। এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘ নয়ই জিলহজ এর দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে আশাবাদী । তিনি এ দিনের মাধ্যমে বিগত দিনের সকল গুনাহ ও আগামী এক বছরের সকল গুনাহ মাফ করবেন।(মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখলে যে সওয়াব
জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। এই মাসের প্রথম দশ দিন, বিশেষত আরাফাত দিবসে রোজা রাখা সুন্নত এবং এতে আল্লাহ তায়ালার নিকট অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। এখানে জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখার কিছু ফজিলত ও সওয়াব উল্লেখ করা হলো:
প্রথম দশ দিনের রোজা: জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এই দিনগুলোতে ইবাদতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আল্লাহর নিকট এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অধিক পছন্দনীয় কোনো আমল নেই।” সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন: “হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহর পথে জিহাদও না?” তিনি বললেন: “আল্লাহর পথে জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি জান-মাল নিয়ে জিহাদে বের হয় এবং কিছুই ফিরে আসে না (অর্থাৎ শাহাদাতবরণ করে)।” (সহিহ বুখারি
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য আর্টিকেল গুলো ভিজিট করে আসতে পারেন। আমরা ইসলামিক বিষয়ে সকল তথ্য বিস্তারিত দিয়ে থাকি এই ওয়েব সাইটে। তাই আপনারা চাইলে এই ওয়েবসাইটটিকে ফলো করে রাখতে পারেন। আপনারা সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন এটি আশা করি। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আবার আসবেন